অনলাইন ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ৪:৫১ অপরাহ্ণ | 179 বার
সন্তানের প্রতি বাবার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প চিরচেনা। কিন্তু মেয়ে হওয়ার অপরাধে নিজের সন্তানকে অস্বীকার করেন বাবা? তাইতো অধিকার চাইতে আদালতে ৩ বছরের শিশুকন্যা। বিচারকের কাছে দাবি ন্যায়বিচারের।
বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ, নিরাপত্তার চাদর- যিনি বটবৃক্ষের মতো সন্তানকে আগলে রাখেন। কিন্তু ৩ বছরের আয়েশার গল্পটা ভিন্ন। তার ছোট্ট জীবনে বাবার উপস্থিতি কখনও হয়েই উঠেনি।
দোষটা অবশ্য আয়েশার। তার ছেলে হয়ে না জন্মানোটাই যে বাবা ইউনূস হাওলাদারের চোখে সবচেয়ে বড় অপরাধ। তাই তো অবুঝ শিশুটির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত বাবা তাকে দেয়নি নিজ সন্তানের স্বীকৃতি।
কন্যার অধিকার আর মায়ের সংসার বাঁচাতে বৃদ্ধা নানীর হাত ধরে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয় আয়েশা।
শিশুটির মা তাসলিমা জানান, কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই তাকে মারধর করা শুরু করেন স্বামী ইউনূস। দাবি করেন, ২ লাখ টাকা না দিলে ঘরে ঢুকতে দেবেন না স্ত্রী-কন্যাকে।
হতদরিদ্র রাহিমা খাতুনের পক্ষে সম্ভব হয়নি যৌতুকের ২ লাখ টাকা জোগানোর। তাই গেল ৩ বছর মেয়ে আর নাতনীর আশ্রয় হয়েছে তার ঘরে। প্রতিকার চাইতে বাধ্য হয়ে তাই মামলা করলেন আদালতে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দারাখশা পারভীন জানালেন, যৌতুক মামলায় এক বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইউনূস জামিনে পলাতক।
ছোট্ট আয়েশার ভরণপোষণে করা মামলায় তাই এখন অপেক্ষা শুধু ন্যায়বিচারের।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৫১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
ajkervabna.com | ajker vabna
©- 2021 ajkervabna.com কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।